Header Ads

গর্ভাবস্থায় বমি কেন হয়?

গর্ভাবস্থায় বমি কেন হয়?
ডা. বেদৌরা শারমিন 
গাইনি কনসালটেন্ট, সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড।
গর্ভকালীন নারীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সবচেয়ে বেশি যে সমস্যার কথা শোনা যায় তা হলো বমি করা কিংবা বমি বমি ভাব। এই সমস্যার কারণে মায়েরা ভালোভাবে খেতে পারেন না। এছাড়া কিছু খেলেও বমি হয়ে যায়। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে সবচেয়ে বেশি হয়। খুব সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। এছাড়া কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি পালন করতে পারেন।

                           বমি কেন হয়?

 হিউম্যান কোরিওনিক গনাডোট্রোফিন (Human Chorionic Gonadotropin -hCG) নামক হরমোনটি গর্ভকালীন শরীরে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বমি বমি ভাবের ব্যাপারটি হয়ে থাকে। আবার মা যদি গর্ভে জমজ সন্তান ধারণ করেন, তবে এর মাত্রা আরও বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
একজন সুস্থ্ মা-ই পারে একটি সু্স্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে। তাই গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজন সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা। গর্ভকালীন যত্ন বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে।
আসুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় বমি কমাবেন কীভাবে
                                          পানি পান করুন
গর্ভাবস্থায় বমির সমস্যা বেশি হলে প্রতি এক ঘণ্টা পরপর পানি পান করুন। এটি বমির সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। এটি শরীরকে আর্দ্র রাখতেও কাজ করবে। তাই বিছানার পাশে এক গ্লাস পানি রাখুন। ঘুম থেকে ওঠার পর ছোট ছোট চুমুকে পানি পান করুন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। এটি মেজাজ ভালো রাখবে, হজম ভালো করবে।
                                                   আদা
বমি দূর করার জন্য আদা একটি চমৎকার সমাধান। এটি হজমের জন্যও ভালো। বমি দূর করতে বমির সময় দ্রুত আদা চিবান। এক চা চামচ মধুর মধ্যে পাঁচ ফোঁটা আদার রস দিন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ধীরে ধীরে এটি পান করুন। এ ছাড়া আদার চাও খেতে পারেন।
                                                     লেবু
গর্ভাবস্থায় বমির সমস্যা কমাতে লেবুর জুড়ি নেই। লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি সন্তানসম্ভবা নারীর জন্য ভালো। এক গ্লাস পানির মধ্যে লেবুর রস ও মধু দিন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এটি খেতে পারেন। এছাড়া লেবুর খোসার গন্ধ শুঁকতে পারেন। যা বোমি কমাতে বেশ উপকারী।
গাইনি কনসালটেন্ট, সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড।

No comments

Powered by Blogger.